Rapid Pass ক্রয়ের সহজ নিয়ম
ঢাকা মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর র্যাপিড পাসের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুন। যদিও এটি বেশ কয়েক বছর আগেই এনেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ।
র্যাপিড পাস ক্রয়ের বিস্তারিত সহজ নিয়ম নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
র্যাপিড পাস ক্রয়ের জন্য আপনাকে যেতে হবে ডাচ বাংলা ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু ব্রাঞ্চ, সাব-ব্রাঞ্চ বা ফার্স্ট ট্র্যাকে। উক্ত নির্দিষ্ট শাখাগুলোর নাম:
১) সোনারগাঁও জনপদ শাখা, উত্তরা
২) উত্তরা শাখা, উত্তরা
৩) রবীন্দ্র সরণি শাখা
৪) পল্লবী শাখা, মিরপুর
৫) মিরপুর শাখা, মিরপুর
৬) মিরপুর সার্কেল-১০ শাখা
৭) ইব্রাহিমপুর শাখা, ক্যান্টনমেন্ট
৮) শেওড়াপাড়া শাখা, মিরপুর
৯) কর্পোরেট শাখা, মতিঝিল
১০) ইন্দিরা রোড শাখা, ফার্মগেট
১১) খালপাড় উপ-শাখা, উত্তরা
১২) তালতলা উপ-শাখা, আগারগাঁও
১৩) সচিবালয় ফাস্ট ট্র্যাক, বাংলাদেশ সচিবালয়
১৪) ফার্মগেট উপ-শাখা, ফার্মগেট
১৫) কাওরান বাজার শাখা, কাওরান বাজার
১৬) গ্রীন রোড শাখা, পান্থপথ
১৭) এলিফ্যান্ট রোড শাখা
১৮) সেগুনবাগিচা উপ শাখা, সেগুনবাগিচা
১৯) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখা, গুলিস্তান
২০) মতিঝিল বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা, গুলিস্তান
২১) শান্তিনগর শাখা, শান্তিনগর
২২) নিউ মার্কেট শাখা, নিউ মার্কেট
২৩) সাতমসজিদ রোড শাখা, ধানমন্ডি
২৪) ধানমন্ডি শাখা, মিরপুর রোড
২৫) নিউ ইস্কাটন মাকা, ইস্কাটন, মগবাজার
২৬) শ্যামলী শাখা, শ্যামলী
২৭) খিলগাঁও শাখা, তালতলা, খিলগাঁও
২৮) আর.কে.মিশন রোড উপ-শাখা, মতিঝিল
২৯) রামপুরা শাখা, রামপুরা
৩০) বিজয়নগর শাখা, বিজয়নগর
৩১) বসুন্ধরা শাখা, বসুন্ধরা
৩২) তেজগাঁও শাখা, নাবিস্কো, তেজগাঁও
৩৩) মগবাজার শাখা, মগবাজার
৩৪) মুগদা উপ শাখা, মুগদা
ইত্যাদি শাখা ছাড়াও আগারগাঁও ও দিয়া বাড়ি স্টেশনের ডাচ বাংলা বুথ থেকেও র্যাপিড পাস ক্রয় করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ মিরপুর-১০ থেকে সকল এলাকার ভাড়ার তালিকা
উক্ত যেকোনো শাখায় গিয়ে দায়িত্বরত কাউকে জিজ্ঞেস করলেই Rapid Pass এর ফর্ম বা লাইন দেখিয়ে দিবে। সেখানে ফর্ম পূরণ করে কাউন্টারে জমা দিতে হবে। ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য চাইবে, তা দিবেন। এরপরে ৪০০৳ সহ উক্ত ফর্ম ও NID কপি জমা দিলেই কয়েক মিনিটসের মধ্যে দায়িত্বরত অফিসার আপনার তথ্য যাচাই-বাছাই করে একটি কার্ড প্রদান করবেন। এবং এই কার্ড তখনই ব্যবহার যোগ্য হবে।
এছাড়াও Rapid Pass এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করে অনলাইনে Rapid Pass কার্ড অর্ডার করার সুযোগ রয়েছে। (সার্ভিজ চার্জ প্রযোজ্য)
আপনার বিশেষ অবগতির জন্য আরও জানিয়ে রাখছি যে, আপনার কার্ডটি অনলাইনে চেক করবেন রেজিস্ট্রেশন করা আছে কিনা! না থাকলে https://rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে ঢুকে তথ্যাবলী দ্বারা রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন, যাতে পরবর্তীতে আপনার কার্ড হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড নেয়ার সময় পূর্ববর্তী ব্যালেন্স সমন্বয় করা যায়। এতে আপনার বিশেষ সুবিধা হবে, যেমন: কার্ড ভেঙ্গে বা হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড নেয়ার সময় পূর্ববর্তী ব্যালেন্সও পেয়ে যাবেন। এছাড়া র্যাপিড পাসেও রয়েছে প্রতি ভ্রমণে ১০% ডিসকাউন্ট।
আপনার মেট্রোরেল ভ্রমণের টিকেট কিনতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হবেনা সেই সাথে আপনি সহজ ভাবেই পাবেন অতিরিক্ত ১০% ডিসকাউন্ট প্রতি ভ্রমণেই। অর্থাৎ, আপনার গন্তব্যে ভাড়া যদি হয় ৫০৳ তবে আপনার কার্ড থেকে কেটে নিবে ৪৫৳, যা একটি বিশেষ সাশ্রয়। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলেই আপনার কার্ডের জন্য হোল্ড করা ২০০৳ চার্জের অধিক বা সমপরিমাণ টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন। তাই প্রত্যেকেরই উচিৎ র্যাপিড পাস ক্রয় করে নেয়া।
প্রিয় পাঠক বন্ধু, এই পোষ্টের মাধ্যমে আজকে আমরা জানলাম ‘Rapid Pass ক্রয়ের সহজ নিয়ম’ তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। পরবর্তী পোস্টে আমরা জানবো ঢাকা মেট্রোরেলের অন্য কোনো বিষয়ে। আমাদের ওয়েবসাইটের প্রতিদিনের সকল পোষ্টের আপডেট জানতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। এছাড়া টেলিগ্রামে আপডেট পেতে জয়েন করে রাখুন আমাদের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল।