যেভাবে খুব সহজেই MRT pass ক্রয় করবেন

লাইনে দাঁড়ানো ব্যতীত সরাসরি মেট্রোরেলে ভ্রমনের জন্য প্রয়োজন হবে MRT pass কার্ড। আজ আমরা শিখবো যেভাবে খুব সহজেই MRT pass ক্রয় করা যাবে।

যেভাবে খুব সহজেই MRT pass ক্রয় করবেনঃ

প্রথমত আপনি ঢাকা মেট্রোরেলের যেকোনো স্টেশনে যাবেন।সিঁড়ি বা লিফট (বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা) ব্যবহার করে উপরে উঠবেন, সেখানে গিয়ে দেখবেন টিকেট কাটার মেশিনের কাছেই Excess Fare Office বা Customer Service Centre রয়েছে। সেখানে গিয়ে দায়িত্বরত অফিসারকে বলবেন, “আমি একটি MRT pass নিতে চাচ্ছি”। তারা আপনাকে একটা ফর্ম দিবে, সেটিতে কিছু তথ্য চাইবে, আপনার NID card দেখে তা পূরণ করবেন। (যেমন: আপনার নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, জেন্ডার, জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন / ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট ইত্যাদি যেকোনো কিছুর নাম্বার, আপনার জাতীয়তা, আপনার নিজের জেলা, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি) এবং ফর্মের নিচের অংশে স্বাক্ষর ও তারিখ লিখে উক্ত অফিসারের কাছে জমা দিবেন সাথে ৫০০৳। এই ৫০০৳ এর মধ্যে আপনার কার্ডের মূল্য বাবদ ২০০৳ ও আপনার ব্যবহারযোগ্য ব্যালেন্স দেয়া হবে ৩০০৳।

 

আরও পড়ুনঃ Rapid Pass ক্রয়ের সহজ নিয়ম

 

অবশ্য আপনি চাইলে এই ফর্মটি বাসা থেকে পূরণ করেও নিতে পারেন, অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে। ফর্মটি পূরণ করে জমা দেয়ার ২-৩ মিনিসের মধ্যে উক্ত অফিসার আপনার তথ্য যাচাই পূর্বক আপনাকে একটি MRT pass প্রদান করবেন। প্রদানের সাথে সাথেই এটি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হবে। অর্থাৎ আপনি টিকেটের লম্বা লাইন ধরা ছাড়া-ই এন্ট্রি গেইটে পাঞ্চ করে মেট্রোর পেইড জোনে প্রবেশপূর্বক মেট্রোরেল ভ্রমণ করে আপনার গন্তব্যে যেতে পারবেন।

 

আপনার আরও অবগতির জন্য বলে রাখা ভালো, আপনি এই কার্ড দ্বারা প্রত্যেক ভ্রমণেই পাবেন ১০% ডিসকাউন্ট। অর্থাৎ আপনার গন্তব্যের ভাড়া যদি হয় ৫০৳ তবে আপনার কার্ড থেকে কর্তন হবে ৪৫৳, যা নিয়মিত মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ বা সাশ্রয়ও বলা যেতে পারে। নিয়মিত ভ্রমণ করলে আপনার যেই ২০০৳ কার্ডের চার্জ রাখা হয়েছিলো তা ডিসকাউন্ট ১০% থেকেই পুষিয়ে যাবে। তাই নিয়মিত ভ্রমণকারীদের উচিৎ এই পাস কার্ড ব্যবহার করে সময় ও অর্থের সাশ্রয় করা। এতে আপনার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবেনা, শুধুমাত্র কার্ডে রিচার্জের সময়ে একটু লাইনে দাঁড়ানো লাগতে পারে, তবে রিজার্জ করবেন যখন ভীড় থাকবেনা। এছাড়া আগামীতে অনলাইনেও কার্ডের রিচার্জ ব্যবস্থা করা হতে পারে।

 

[সর্বপরি, মেট্রোরেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। এর রক্ষণাবেক্ষণ ও যথাযথ ব্যবহার আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। ঢাকা মেট্রোরেলে আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা, যেকোনো জিজ্ঞাসা ও মতামত প্রকাশের জন্য উন্মুক্ত প্লাটফর্মে জয়েন করুন ফেসবুক গ্রুপ MetroRail Passengers Community- DHAKA  এবং ফলো করুন ফেসবুক পেজে।]