র‍্যাপিড পাস কার্ডের সকল চার্জ সমূহ

মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য র‍্যাপিড পাস বর্তমানে বেশ আলোচনার বিষয়। আজ আমরা জানবো এই র‍্যাপিড পাস কার্ডের সকল চার্জ সমূহ নিয়ে।

১) র‍্যাপিড পাস নতুন নিতে লাগবে ৪০০ টাকা। এর ২০০টাকা কার্ডে জামানত এবং ২০০ টাকা ব্যবহারযোগ্য ব্যালেন্স থাকবে।

আরও পড়ুনঃ Rapid Pass ক্রয়ের সহজ নিয়ম

২) রেজিস্ট্রেশন করা আপনার কার্ডটি হারিয়ে গেলে নতুন নিতে রিপ্লেস চার্জ লাগবে ৪০০টাকা। এতে আগের ব্যালেন্স যোগ হবে। কিন্তু ৪০০টাকা রিপ্লেস চার্জের কোনো অংশ ব্যবহার যোগ্য ব্যালেন্স হিসাবে দেয়া হবেনা।
তবে আপনার হারিয়ে যাওয়া কার্ডটি খুঁজে পেয়ে ফেরত দিলে ১৮০ টাকা ফেরত পাবেন।

৩) আপনার অসাবধানতায় বা ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহারে কার্ড ড্যামেজ হলে এবং তা ফেরৎ দিলে ২০০ টাকা চার্জ লাগবে নতুন কার্ড রিপ্লেসমেন্টে।

এছাড়াও জেনে রাখা ভালো,
★একজন কার্ড ব্যবহারকারী প্রতিবারে সর্বোচ্চ ১,০০০/- টাকা রিচার্জ করতে পারবেন, তবে কার্ডের ব্যালেন্স ১০,০০০/- টাকা এর বেশি হতে পারবে না।

★কার্ডে অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকলেও কার্ড ব্যবহারকারী একবার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পরবর্তী রিচার্জে ঐ পরিমাণ টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় হয়ে যাবে।

★যদি কোন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী কার্ড ফেরত দিতে মনঃস্থির করেন, সেক্ষেত্রে অপারেটর সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে রিফান্ড ফি বাবদ ২০ টাকা কেটে নিয়ে একই দিনে কার্ডের মূল্য (জমা ও রিচার্জ) ফেরত দিবেন।

 

র‍্যাপিড পাস ব্যবহারকারীদের বিশেষ সতর্কতার জন্য জানানো হচ্ছে যে, অনেক কার্ড ব্যবহারকারী তাদের কার্ডের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন বা শৈল্পিক কর্ম প্রদর্শন করে থাকেন। এই শৈল্পিক কর্মের একটি বিরাট অসুবিধা রয়েছে, তা হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আপনার কার্ডে কোন ধরনের সমস্যা হলে কার্ড যদি ফেরত দেওয়ার জন্য মনস্থির করেন তবে কর্তৃপক্ষ আপনার কার্ডটি ফেরত নিবে না। যদি আপনি কোন প্রকার ডিজাইন করেন কিংবা কোন দাগ বা স্কেচ বা কার্ড টি বাঁকা করে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে কার্ডটি ফ্রেশ রাখা প্রয়োজনে কাভার ব্যবহার করা। সাধারণত মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশনের নিচে ভ্রাম্যমান যে সকল বুথ রয়েছে পাস বিক্রয়ের সেসব বুথ থেকে কার্ড ক্রয় করলে তারা বিনামূল্যে কার্ডের কভার সরবরাহ করে কিন্তু ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখা / উপ- শাখা থেকে কার্ড ক্রয় করলে কাভার নাও দিতে পারে। একজন সচেতন যাত্রী হিসাবে আপনার উচিত হবে কার্ডটি নিজ দায়িত্বে সযত্নে রাখা।

 

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধু, এই পোষ্টের মাধ্যমে আজকে আমরা জানলাম ‘র‍্যাপিড পাস কার্ডের সকল চার্জ সমূহ’ তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। পরবর্তী পোস্টে আমরা জানবো ঢাকা মেট্রোরেলের অন্য কোনো বিষয়ে। আমাদের ওয়েবসাইটের প্রতিদিনের সকল পোষ্টের আপডেট জানতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। এছাড়া টেলিগ্রামে আপডেট পেতে জয়েন করে রাখুন আমাদের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল।