মেট্রোরেলে TMO এবং CRA পদে চাকরির বিস্তারিত সুবিধা-অসুবিধা

যানজট নিরসনে ঢাকাবাসীর প্রথম পছন্দের বাহন মেট্রোরেল। সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোরেলে সুবিশাল একটা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক, TMO এবং CRA পদে চাকরির বিস্তারিত সুবিধা-অসুবিধা।

 

পদের নামঃ
টিকেট মেশিন অপারেটর (টিএমও)
কাস্টমার রিলেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিআরএ)

বেতন গ্রেডঃ
১৬তম গ্রেড (রাজস্ব খাত ভুক্ত না)। মূল বেতন ১৮৬০০ টাকা, তবে সর্বসাকুল্যে বেতন পাবেন প্রতি মাসে ৩৩,৬৯০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য সরকারি চাকরির মত প্রতি জুলাইয়ে ইনক্রিমেন্ট, ঈদ বোনাস, বৈশাখী ভাতা ইত্যাদি পাবেন।

কর্মঘন্টাঃ
ডিউটি ৮ ঘন্টা তবে শিফট ডিউটি, রোস্টার ওয়াইজ (সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা, দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা)৷ সপ্তাহে ছুটি একদিন শুধু শুক্রবার, তবে আগামীতে শুক্রবারেও মেট্রোরেল চললে এই বন্ধও সপ্তাহের অন্য কোনো দিন নেয়া লাগতে পারে। এছাড়া ২১ই ফেব্রুয়ারী, ১৬ই ডিসেম্বর বা অন্যান্য জাতীয় কোন দিবসেই ছুটি নাই। বাৎসরিক বিশেষ ছুটি রয়েছে ২০দিন। তবে বিশেষ প্রয়োজনে সহকর্মীদের সাথে ডিউটি এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারবেন।

কাজঃ
টিকেট মেশিন অপারেটর এবং কাস্টমার রিলেশন অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ মূলত একই। প্যাসেঞ্জারদের সার্ভিস দেয়া।
যেমনঃ
১) বাড়তি ভাড়া আদায় কক্ষ বা টিকেট বিক্রির কাউন্টারে বসে টিকেট বিক্রি করা।
২) টিকেট বিক্রির আদায়কৃত টাকা সঠিক হিসাব বুঝিয়ে দেয়া। কোনো ক্রমে টাকা হারিয়ে গেলে বা হিসাবে কম হলে তা নিজের পকেট থেকে মিলিয়ে হলেও হিসাব ক্লিয়ার করতে হবে।
৩) এন্ট্রি এবং এক্সিট গেইটে দাঁড়ানো প্রয়োজন হতে পারে প্যাসেঞ্জারদের যাতায়াতে সহযোগীতার জন্য।
৪) প্যাসেঞ্জারদের প্রস্থানকালে পিজি মেশিনে জমা দেওয়া টিকেট গুলো বক্স থেকে বের করে (আনলোড করে) হিসাব করে বুঝিয়ে দিতে হবে।
৫) সিনিয়দের নির্দেশনা মেনে সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে সকল কাজ করতে হবে।

 

বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত পড়ুনঃ মেট্রোরেলে ২০২ জনের চাকরির সুযোগ

 

বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবেঃ
টিকেট মেশিন অপারেশর এবং কাস্টমার রিলেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট ২টি পদের নাম আলাদা হলেও উভয়কে একই কাজ করতে হবে। সার্কুলারে লেখাও থাকে পদগুলো পরস্পর বদলীযোগ্য, অর্থাৎ ২ পদেই কাজ একই। কাস্টমার রিলেশন পদে জব নিয়ে টিকেট অফিস রুমে ডিউটি দিলে অভিযোগ দেয়ার সুযোগ নাই যে কেন টিকেট কাটতে দিলো!
কাজের চাপ অনেক। যাত্রীদের সাথে প্রায়শই কথা কাটাকাটি হতে পারে, তারা অভিযোগ দিবে সেগুলো সামালে নিতে হবে।

যেকোনো স্টেশনে কাজ করার মানসিকতা রাখতে হবে।
এই পদে কোনো প্রমোশন নাই।
চাকরি করে অবসরে গেলে এককালীন কোনো টাকা পাবেন না।
অবসরে গেলে কোন পেনশন পাবেন না।
স্টেশনে কাজ করার সময় প্যাসেঞ্জারদের সাথে বাকবিতণ্ডা লেগে গেলেও সাবধানতার সাথে পরিস্থিতি সামলে নিতে হবে। মেজাজ খারাপ করে প্যাসেঞ্জারদের সাথে পাল্টা প্রতিত্তোর দিতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের শোকজ খেতে পারেন। সুতরাং, পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে।
চাকরি থাকাকালীন কোনো দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে কাজ করতে অক্ষম হলে চাকরি হারাবেন এবং এজন্য বিশেষ কোনো ভাতাপ্রাপ্তও হবেন না। তা যদি স্টেশনে আসা বা যাওয়ার পথে কোনোভাবে হয় তাতেও পাবেন না।
চাকরি ছাড়তে হলে কমপক্ষে ৩ মাস আগে লিখিতভাবে জানাতে হবে, অথবা ৩ মাসের বেসিক বেতন কর্তৃপক্ষকে জরিমানা হিসাবে দিতে বাধ্য থাকবেন, অন্যথায় মামলা দায়েরও হতে পারে।

 

পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
বিগত নিয়োগে প্রথমে প্রিলি, এরপর টাইপিং স্পিড টেস্ট এবং সর্বশেষে ভাইবা নিয়েছিলো। টাইপিং স্পীড অবশ্যই ভালো থাকতে হবে।

 

আরও পড়ুনঃ ঢাকা মেট্রোরেল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নোত্তর

 

ঢাকা মেট্রোরেলের সকল আপডেট জানতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। এছাড়া টেলিগ্রামে আপডেট পেতে জয়েন হোন আমাদের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে।